রমজানের নানাবিধ শিক্ষা ও উপকার রয়েছে। রমজান মানুষের ভেতর-বাহিরকে পরিশীলিত ও পরিশুদ্ধ করে। মানুষের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। সব ধরনের অন্যায়, অশোভন, পাপাচার ও যাবতীয় অকল্যাণকর কাজকর্ম থেকে বিরত রাখে। নিচে রমজানের কয়েকটি শিক্ষা তুলে ধরা হলো—
মা-বাবা, ভাইবোন, চাচা-চাচি, খালা-খালু, ফুপা-ফুপু, নানা-নানি, দাদা-দাদিসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষায় জোর দেয় ইসলাম। সমাজের ভারসাম্য ও শৃঙ্খলা রক্ষায় এই সম্প্রীতির কোনো বিকল্প নেই। আত্মীয়তার সম্পর্ক বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। রক্ত সম্পর্কের আত্মীয়, দুধ সম্পর্কের আত্মীয়
ঈদ মুসলিম উম্মাহর এক আনন্দঘন, স্বতন্ত্র, তাৎপর্যপূর্ণ ও স্বমহিমায় উদ্ভাসিত উৎসব। এ উৎসবে একদিকে রয়েছে আনন্দ ও খুশির সমারোহ, অন্যদিকে রয়েছে ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যপূর্ণ ইবাদত-বন্দেগি ও আবেগের সংমিশ্রণ। এই সমন্বয়ই ঈদ উৎসবের মূল স্বকীয়তা। ঈদ নিছক আনন্দ-উল্লাসের দিন নয়, আবার নীরস গাম্ভীর্যপূর্ণ আধ্যাত্মিকত
পোশাক মানুষের সৌন্দর্যের পূর্ণতা দেয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে আদমসন্তান, নিশ্চয়ই আমি তোমাদের পোশাক দান করেছি, যাতে তোমরা তোমাদের লজ্জা নিবারণ করতে পারো এবং শোভা হিসেবেও। আর তাকওয়ার পোশাকই উত্তম।’ (সুরা আরাফ: ২৬)
মাসব্যাপী সংযমের অনুশীলনের পর আল্লাহ তাআলার পুরস্কার হিসেবে ঈদ উদ্যাপিত হয়। ঈদ কেবল আনন্দ-উৎসবই নয়, বরং তা মহান আল্লাহর আনুগত্যে শুদ্ধতা-শূচিতা চর্চার অনন্য উদ্যাপন। ঈদের দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো ঈদের নামাজ। ঈদের নামাজের নিয়মকানুন এখানে তুলে ধরা হলো—
ঈদুল ফিতর মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এই উৎসবের দিনেও রয়েছে কিছু কর্তব্য। এই দিনে কিছু করণীয় যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে কিছু বর্জনীয়ও। এখানে সংক্ষেপে তা তুলে ধরা হলো—
পবিত্র মাহে রমজান শেষে যে সন্ধ্যায় শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়, সেই রাতই ঈদুল ফিতরের রাত। এই রাত অত্যন্ত বরকতময়। দীর্ঘ সিয়াম-সাধনার পর মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মুমিন বান্দার পুরস্কার লাভের রাত।
রোজা মুমিনের ঢালস্বরূপ। এটি গুনাহ থেকে বাঁচার ঢাল। যুদ্ধের ময়দানে ঢাল যেমন শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করে, তেমনি রোজাও একজন মুমিনকে গুনাহ থেকে বাঁচিয়ে রাখে। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘রোজা হলো ঢাল।’ (সহিহ বুখারি: ১৮৯৪)
শবে কদর বছরের শ্রেষ্ঠ রাত। পবিত্র কোরআনে একে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম বলা হয়েছে। মহানবী (সা.)-এর ভাষ্য অনুসারে, পবিত্র রমজানের শেষ দশকের যেকোনো একটি বিজোড় রাত শবে কদর হয়। তবে অনেক সাহাবি ও আলিম ২৭তম রাতকে শবে কদর হিসেবে চিহ্নিত করার কারণে সারা বিশ্বে এই রাতই শবে কদর হিসেবে পালিত হয়। দেশে দেশে কীভাবে এ
ইসলামের দৃষ্টিতে বছরের শ্রেষ্ঠ রজনী শবে কদর। রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে শবে কদর অনুসন্ধানের কথা বলা হয়েছে। তবে কোন রাতটি শবে কদর, তা কোরআন-হাদিসে সুনির্দিষ্টভাবে বর্ণিত হয়নি। অবশ্য অনেক আলিমের মতে, রমজানের ২৭তম রাতই (২৬ রমজান দিবাগত রাত) শবে কদর। এখানে হাদিসের আলোকে শবে কদর সম্পর্কিত তিনটি
মাহে রমজান, ঈদুল ফিতর ও পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে আজ থেকে আগামী ১৩ দিনের জন্য ছুটিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ছুটি শুরু হওয়ায় হল ছাড়তে শুরু করছেন শিক্ষার্থীরা।
ইসলামে হালাল রোজগারের গুরুত্ব অপরিসীম। পবিত্র কোরআনে বিভিন্ন স্থানে আল্লাহ তাআলা ইসলাম নির্দেশিত বৈধ পথে আয় করার নির্দেশ দিয়েছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘হে মানবজাতি, তোমরা পৃথিবীর হালাল ও পবিত্র বস্তু আহার করো, আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিঃসন্দেহে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।’ (সুরা বাকারা: ১৬৮)।
মুমিনের জীবনের সবকিছুর নিয়ন্তা মহান আল্লাহই। তাই তাঁর কাছেই বিশ্বাসীদের আশ্রয় চাইতে হয়। দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে আমরা মূলত নিজেদের অক্ষমতা এবং মহান আল্লাহর সর্বময় ক্ষমতার স্বীকৃতি দিই।
শবে কদর বা লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ একটি রাত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, আমি তা (কোরআন) লাইলাতুল কদরে অবতীর্ণ করেছি। জানো কি লাইলাতুল কদর কী? লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।’ (সুরা কদর) এ রাতের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) বলেছেন
গুনাহ ও পাপকর্মে জড়ানো মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। তবে তা বুঝতে পারা এবং অনুশোচনা করে ফিরে আসতে পারা তার পূর্ণতার নিদর্শন। সব মানুষের ভাগ্যে অনুশোচনা ও তওবা নসিব হয় না।
আল্লাহ তাআলা কিছু সময়কে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। সময়গুলো আল্লাহর সঙ্গে ‘বিপুল মুনাফায় ব্যবসা করার’ ভরা মৌসুম। সেই সময়গুলোর একটি পবিত্র রমজান মাসের শেষ ১০ দিন। রমজানের বাকি দিনগুলোর চেয়ে এই ১০ দিনের ফজিলত অনেক বেশি। এই দশকের রাতগুলো যেমন শ্রেষ্ঠ, তেমনি দিনগুলোও ফজিলতে পূর্ণ।
ইসলামের মৌলিক ভিত্তি পাঁচটি। তার মধ্যে অন্যতম একটি রোজা। তাকওয়া অর্জন এবং আল্লাহর প্রেমের ক্ষেত্রে রোজা এক অতুলনীয় ইবাদত। একজন রোজাদারকে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সর্বপ্রকার পানাহার ও কামাচার থেকে বিরত থাকতে হয়।